এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং শব্দটির সাথে খুব সম্পৃক্ত হচ্ছে প্রচার, প্রমোশন এবং কেনা-বেচা শব্দ গুলো। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং ও তেমনই কিছু। আপনি যে কোন মার্কেট প্লেস যেমন অ্যামাজন, দারাজ, বিডি সপ বা অন্য কোন কোম্পানী যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং চালু রেখেছে, সেখান থেকে আপনার পছন্দের কোন প্রোডাক্ট লিঙ্ক আপনার কোন সাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে এড করলে আর সেই লিঙ্ক ক্লিক করে কেউ যদি সেই প্রোডাক্ট কিনে নেয় তবে আপনি বিক্রিত ওই প্রোডাক্টের দামের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এভাবে যত প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি হবে আপনার আয় ততই বাড়তে থাকবে। প্রোডাক্ট পৌঁছনো বা প্রোডাক্ট সংক্রান্ত কোন দায় দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে না। আপনি কেবল আপনার সাইট বা চ্যানেলের জন্য প্রমোশন করবেন, এসইও করবেন যাতে কাস্টোমার সার্চ দিলে সহজেই আপনার সাইট বা চ্যানেল খুজে পায়। এজন্য আপনার সাইট এবং চ্যানেলে ভালো কনটেন্ট দিতে হবে। এসইও অনুযায়ী আপনাকে যথাযথ কিওয়ার্ড নির্বাচন করে নিতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কি কি প্রয়োজন?
বেশ কিছু প্রস্তুতি, কিছু প্রসিডিউর মেনে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হয়। আমরা এবার জানবো প্রতিটি স্টেপ। যারা একদম নতুন তাদের জন্য প্রতিটি স্টেপ পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে। ১। সঠিক এফিলিয়েট প্রোডাক্ট নির্বাচন করা ২। প্রোডাক্ট অনুযায়ী সঠিক নিশ গঠন করা ৩। এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য যথাযথ ডোমেইন নির্বাচন করা ৪। প্রয়োজনীয় থিম এবং প্লাগিন সেট করা ৫। নিশ অনুযায়ী যথাযথ এবং ভালো মানের কনটেন্ট লিখা ৬। এনালিটিক্স সেট করা যাতে ওয়েবসাইটের সঠিক ডাটা পাওয়া যায়
১। সঠিক এফিলিয়েট প্রোডাক্ট নির্বাচন করাঃ যেকোন মার্কেটপ্লেস বা কোম্পানীর বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সেবা থেকে প্রথমেই আপনাকে আপনার পছন্দের এবং যেটি সম্পর্কে আপনি খুব ভালো জানেন বা সঠিক তথ্য আপনার কাছে আছে সেই সব প্রোডাক্ট বা সেবাকে এফিলিয়েট এর জন্য নির্বাচন করুন। কারণ এসব প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে, এই সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দিতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে হবে, ক্লায়েন্ট এর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আরও কত কি!
২। প্রোডাক্ট অনুযায়ী সঠিক নিশ গঠন করাঃ প্রোডাক্ট নির্বাচনের পর অবশ্যই আপনাকে প্রোডাক্ট বা সেবা এর সাথে সম্পৃক্ত যথাযথ নিশ নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ ধরুন আপনি অ্যামাজন থেকে কিছু রান্না করার সামগ্রী এফিলিয়েট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এখন আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট যেখানে আপনি এফিলিয়েট লিঙ্কটি দিবেন তার জন্য একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে। এখন রান্নার করার সামগ্রীর জন্য আপনার নিশ হওয়া উচিত “Kitchen Tools”, “Kitchen Gadget”,”Cookware” ইত্যাদি। এভাবে বাংলাতেও বিভিন্ন নিশ আছে। নিশ নিতে হবে যতোটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট অর্থাৎ আপনি যদি ফ্রাই প্যান বিক্রি করতে চান তবে নিশ দিন Cooking Pan এভাবে। কিভাবে একটি ভালো ও যথাযথ নিশ নির্বাচণ করতে হয় তা পরবর্তি অন্য আরেকটি আর্টিকেল এ থাকবে আশা করি।
৩। এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য যথাযথ ডোমেইন নির্বাচন করাঃ আপনার এফিলিয়েট সাইটের ডোমেইনের নাম অবশ্যিই আপনার নিশ এবং প্রোডাক্ট অনুযায়ী হতে হবে। কারণ ডোমেইন নেইম হচ্ছে আপনার সাইটের ইউআরএল (URL)। অর্থাৎ আপনার সাইটের নাম যা ব্রাউজারে দেখাবে। কাসটোমার ঐ ইউআরএল (URL) ধরেই আপনার সাইটে আসবে। তাছাড়া আপনার সাইটের এসইও এর জন্যও ডোমেইন নাম সঠিক ও যথাযথ হওয়া জরুরী। যেমন আপনার নিশ কিচেন টুলস হলে ডোমেইন এর নামেও কিচেন শব্দটি থাকা আবশ্যক। তাহলে ক্লায়েন্টও বুঝবে আপনার সাইটটি কি সংক্রান্ত।
৪। প্রয়োজনীয় থিম এবং প্লাগিন সেট করাঃ আপনার সাইটটি দেখাতে কেমন হবে, মেনুগুলো কোথায়, কি রঙের হবে, সাইটবারে কি কি থাকবে, ফুটারেই বা কি কি দেখাবে এসব কিছু নির্ভর করে আপনি আপনার সাইটের জন্য কোন থিম নির্বাচন করেছেন। আর প্লাগিন হচ্ছে পূর্বেই তৈরি করা এমন কিছু কাজ বা সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নির্ধারিত কিছু সিস্টেম চালু করে নিতে পারেন। যেমন এফিলিয়েট সাইটের জন্য প্রোডাক্ট প্রেজেন্টেশন , লিঙ্ক বিল্ডিং ইত্যাদির জন্য আবার এসইও করার জন্য বিভিন্ন প্লাগিন পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের কাজকে আরও সহজ করে দেয়। পরবর্তিতে প্র্যাক্টিক্যালি এসব কিছু ডিটেইল দেখানোর ইচ্ছে রইলো।
৫। নিশ অনুযায়ী যথাযথ এবং ভালো মানের কনটেন্ট লিখাঃ কনটেন্ট হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। আপনি কমিশন পাবেন তখনই যদি আপনার লিখা ভালো ভাবে বুঝতে পারে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পায় এবং অনুপ্রানিত হয়ে যদি আপনার দেয়া প্রোডাক্ট লিঙ্কে ক্লিক করে নির্দিষ্ট সাইট থেকে কিছু ক্রয় করে তবেই আপনি কমিশন পাবেন। তাই আপনার কনটেন্ট পরিষ্কার হওয়া উচিত, কপি পেস্ট নয় এবং তথ্যপূর্ণ হওয়া উচিত। এসইও এর ক্ষেত্রেও কনটেন্ট অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
৬। এনালিটিক্স সেট করা যাতে ওয়েবসাইটের সঠিক ডাটা পাওয়া যায়ঃ প্রতিদিন বা মাসে কতজন লোক আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, কোন দেশ থেকে বেশি ভিজিটর আসছে, কোন পণ্য বেশি পছন্দের মতো আরও দরকারী ডেটা পেতে আপনাকে সাইটের জন্য এনালিটিক্স সেট আপ করতে হবে। গুগল অ্যানালিটিক্স ওয়েবসাইটের জন্য খুবই সহায়ক। এখান থেকে আপনি ক্রমাগত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন যা আপনার নীতি নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
আজ আমি যা আলোচনা করেছি তার বেশিরভাগই প্র্যাক্টিক্যালি দেখানোর বিষয়, তবে আপনার বেসিক তত্ত্বগুলি জানা সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে কীভাবে পণ্য যুক্ত করতে হয় এবং অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায় তা জানতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।এমনিতেও অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন ইউটিউবে। আর কি, মঙ্গল কমনা করছি সবার জন্য। আর অনলাইন থেকে যদি কোন কিছু ক্রয় করতে চান তাহলে আমার এফিলিয়েট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
১। সঠিক এফিলিয়েট প্রোডাক্ট নির্বাচন করাঃ যেকোন মার্কেটপ্লেস বা কোম্পানীর বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সেবা থেকে প্রথমেই আপনাকে আপনার পছন্দের এবং যেটি সম্পর্কে আপনি খুব ভালো জানেন বা সঠিক তথ্য আপনার কাছে আছে সেই সব প্রোডাক্ট বা সেবাকে এফিলিয়েট এর জন্য নির্বাচন করুন। কারণ এসব প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে, এই সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দিতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে হবে, ক্লায়েন্ট এর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আরও কত কি!
২। প্রোডাক্ট অনুযায়ী সঠিক নিশ গঠন করাঃ প্রোডাক্ট নির্বাচনের পর অবশ্যই আপনাকে প্রোডাক্ট বা সেবা এর সাথে সম্পৃক্ত যথাযথ নিশ নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ ধরুন আপনি অ্যামাজন থেকে কিছু রান্না করার সামগ্রী এফিলিয়েট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এখন আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট যেখানে আপনি এফিলিয়েট লিঙ্কটি দিবেন তার জন্য একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে। এখন রান্নার করার সামগ্রীর জন্য আপনার নিশ হওয়া উচিত “Kitchen Tools”, “Kitchen Gadget”,”Cookware” ইত্যাদি। এভাবে বাংলাতেও বিভিন্ন নিশ আছে। নিশ নিতে হবে যতোটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট অর্থাৎ আপনি যদি ফ্রাই প্যান বিক্রি করতে চান তবে নিশ দিন Cooking Pan এভাবে। কিভাবে একটি ভালো ও যথাযথ নিশ নির্বাচণ করতে হয় তা পরবর্তি অন্য আরেকটি আর্টিকেল এ থাকবে আশা করি।
৩। এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য যথাযথ ডোমেইন নির্বাচন করাঃ আপনার এফিলিয়েট সাইটের ডোমেইনের নাম অবশ্যিই আপনার নিশ এবং প্রোডাক্ট অনুযায়ী হতে হবে। কারণ ডোমেইন নেইম হচ্ছে আপনার সাইটের ইউআরএল (URL)। অর্থাৎ আপনার সাইটের নাম যা ব্রাউজারে দেখাবে। কাসটোমার ঐ ইউআরএল (URL) ধরেই আপনার সাইটে আসবে। তাছাড়া আপনার সাইটের এসইও এর জন্যও ডোমেইন নাম সঠিক ও যথাযথ হওয়া জরুরী। যেমন আপনার নিশ কিচেন টুলস হলে ডোমেইন এর নামেও কিচেন শব্দটি থাকা আবশ্যক। তাহলে ক্লায়েন্টও বুঝবে আপনার সাইটটি কি সংক্রান্ত।
৪। প্রয়োজনীয় থিম এবং প্লাগিন সেট করাঃ আপনার সাইটটি দেখাতে কেমন হবে, মেনুগুলো কোথায়, কি রঙের হবে, সাইটবারে কি কি থাকবে, ফুটারেই বা কি কি দেখাবে এসব কিছু নির্ভর করে আপনি আপনার সাইটের জন্য কোন থিম নির্বাচন করেছেন। আর প্লাগিন হচ্ছে পূর্বেই তৈরি করা এমন কিছু কাজ বা সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নির্ধারিত কিছু সিস্টেম চালু করে নিতে পারেন। যেমন এফিলিয়েট সাইটের জন্য প্রোডাক্ট প্রেজেন্টেশন , লিঙ্ক বিল্ডিং ইত্যাদির জন্য আবার এসইও করার জন্য বিভিন্ন প্লাগিন পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের কাজকে আরও সহজ করে দেয়। পরবর্তিতে প্র্যাক্টিক্যালি এসব কিছু ডিটেইল দেখানোর ইচ্ছে রইলো।
৫। নিশ অনুযায়ী যথাযথ এবং ভালো মানের কনটেন্ট লিখাঃ কনটেন্ট হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। আপনি কমিশন পাবেন তখনই যদি আপনার লিখা ভালো ভাবে বুঝতে পারে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পায় এবং অনুপ্রানিত হয়ে যদি আপনার দেয়া প্রোডাক্ট লিঙ্কে ক্লিক করে নির্দিষ্ট সাইট থেকে কিছু ক্রয় করে তবেই আপনি কমিশন পাবেন। তাই আপনার কনটেন্ট পরিষ্কার হওয়া উচিত, কপি পেস্ট নয় এবং তথ্যপূর্ণ হওয়া উচিত। এসইও এর ক্ষেত্রেও কনটেন্ট অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
৬। এনালিটিক্স সেট করা যাতে ওয়েবসাইটের সঠিক ডাটা পাওয়া যায়ঃ প্রতিদিন বা মাসে কতজন লোক আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, কোন দেশ থেকে বেশি ভিজিটর আসছে, কোন পণ্য বেশি পছন্দের মতো আরও দরকারী ডেটা পেতে আপনাকে সাইটের জন্য এনালিটিক্স সেট আপ করতে হবে। গুগল অ্যানালিটিক্স ওয়েবসাইটের জন্য খুবই সহায়ক। এখান থেকে আপনি ক্রমাগত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন যা আপনার নীতি নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
আজ আমি যা আলোচনা করেছি তার বেশিরভাগই প্র্যাক্টিক্যালি দেখানোর বিষয়, তবে আপনার বেসিক তত্ত্বগুলি জানা সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে কীভাবে পণ্য যুক্ত করতে হয় এবং অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায় তা জানতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন।এমনিতেও অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন ইউটিউবে। আর কি, মঙ্গল কমনা করছি সবার জন্য। আর অনলাইন থেকে যদি কোন কিছু ক্রয় করতে চান তাহলে আমার এফিলিয়েট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
0 Comments