কম দামে বিমানের টিকিট কিভাবে কিনবো

ট্রাভেল টিপস্ : কাজের জন্য বিদেশ বা রুত্বপূর্ণ কাজ হোক কিংবা ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাই হোক, সহজে ভ্রমণের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আকাশপথ। যদিও সড়কপথে ভ্রমণের চাইতে বিমানে খরচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক বেশি। তবে বিমানের টিকিটের দাম সবসময় একেবারে নির্দিষ্ট থাকে এমন নয়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে উঠা-নামা করে টিকিটের মূল্য। যেমন চাহিদা বেশি থাকলে দাম বেড়ে যায় টিকিটের। আবার সার্বিক নানা পরিস্থিতির কারণেও বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে যেতে পারে। তুলনামূলক কম খরচে বিমানের টিকিট কিনতে চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি।

বিমানের টিকিট

বন্ধের দিনগুলো এড়িয়ে কার্যদিবসে ভ্রমণ করুন। ছুটির দিনগুলোতে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ফলে টিকিটের দামও থাকে বাড়তি। বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রবিবার এড়িয়ে ভ্রমণ করার চেষ্টা করুন।

সাধারণত মঙ্গলবার এবং বুধবারের বিমান টিকেট সবথেকে কমে পাওয়া যায়। কারণ এই দিনগুলোতে সারা বিশ্বেই ভ্রমণের পরিমাণ কমে যায়।

ভ্রমণের তারিখ ঠিক করার চেষ্টা করুন আগেভাগে। তারিখ ঠিক করে ফেলার পরই বিমানের টিকিট কিনে ফেলুন। যাত্রার যত আগে টিকিট কিনতে পারবেন, ততই সাশ্রয়ের সুযোগ পাবেন।

যে এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করতে চাইছেন, তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখুন। অনেক সময় বিশেষ ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন টিকিট।

এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট থেকে সেরা অফার তারা আপনার জন্য নির্বাচনের সুযোগ করে দেবে। আবার প্রায়ই নানা ধরনের অফার দেয় এসব প্রতিষ্ঠান। কম দামে বিমানের টিকিট কেনার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারেন।

ভোরের ফ্লাইট নির্বাচন করুন ভ্রমণের জন্য। খুব সকাল বা ভোরের ফ্লাইট মোটামুটি কম দামেই পাবেন। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে দাম বেড়ে যায়।

অনেক সময় কোনও গন্তব্যের জন্য সরাসরি ফ্লাইটগুলোর খরচ বেশি হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে কানেক্টিং ফ্লাইট বেছে নিন। কানেক্টিং ফ্লাইটে অনেক সময় সময় বেশি লাগলেও টিকেটের মূল্য অনেকটাই কমে আসতে পারে।

বড় বড় এয়ারপোর্ট এবং জনপ্রিয় গন্তব্যের ফ্লাইটগুলোর খরচ সবসময় বেশি। যদি কম জনপ্রিয় কোনও এয়ারপোর্ট আপনার গন্তব্যের কাছাকাছি হয়ে থাকে, তবে সেই এয়ারপোর্টের জন্য ফ্লাইট বুক করুন।

ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন। তাদের নানা ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ থাকে। বিমান ভাড়াসহ ভ্রমণের সব খরচ প্যাকেজ খরচের মধ্যেই থাকে।

এয়ার ট্যাক্স, ব্যাগেজ ফি, সিট সিলেকশন, ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স চার্জ ইত্যাদি হিডেন চার্জ আছে কিনা টিকিট কেনার সময় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যত কম ব্যাগেজ নিয়ে ভ্রমণ করবেন, ততই সুবিধা।

বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় সময়ই নানা ধরনের ছাড় থাকে। কাজে লাগাতে পারেন এই সুযোগ।

Post a Comment

0 Comments